Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মিশন ও ভিশন

এলজিইডি স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে তিনটি সেক্টরে কাজ করে থাকে; এগুলো হচ্ছে-পল্লি উন্নয়ন, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন ও নগর উন্নয়ন। একইসঙ্গে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। এলজিইডির সার্বিক কর্মকাণ্ড দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

পল্লি উন্নয়ন : কৃষি নির্ভর আমাদের দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে পল্লি অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। উৎপাদিত কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ও এর সুষ্ঠু বিপণনে গ্রামীণ সড়ক ও সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করছে এলজিইডি। এলজিইডির রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত সড়ক নেটওয়ার্ক। এ বিশাল সড়ক নেটওয়ার্ক সার্বক্ষণিক চলাচলের উপযোগী রাখতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। পল্লি সড়ক কেবল সড়ক নয় গ্রামীণ অর্থনীতি, জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্যমুক্তির সোপানও বটে। পল্লি সড়ক দেশের আর্থ-সামাজিক সূচকে বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জেন্ডার সমতার অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখছে।

নগর উন্নয়ন : বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ এখন নগরমুখী। দ্রুত নগরায়নের ফলে জাতীয় উন্নয়নে শহর ও নগরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং বহুমুখী চাহিদার ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে নগর জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৮ ভাগ হলেও জাতীয় উৎপাদনের নগর ও শহরের অবদান শতকরা ৬০ ভাগের বেশি। অপরিকল্পিত নগরায়ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি পরিসেবা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এলজিইডি পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগর পরিসেবা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা প্রদান করছে। শহর এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য পৌরসভার মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন : বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। একইসঙ্গে, এ দেশ শত নদীর দেশ। কৃষি উৎপাদনে পানির ব্যবহার অপরিহার্য। ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এলজিইডি গত শতাব্দির আশির দশক থেকেই বিভিন্ন পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ স্কীম বাস্তবায়ন শুরু করে। পরবর্তী সময়ে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে প্রণীত জাতীয় পানি নীতি (এনডাব্লিউপি) ও ২০০১ সালের জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (এনডাব্লিউএমপি) এর আলোকে ১০০০ হেক্টর পর্যন্ত কমান্ড এলাকায় অংশীজনের অংশগ্রহণে সারাদেশে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি।

 

অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে এলজিইডির সম্পৃক্ততা

এলজিইডি নিয়মিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বিশেষত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এলজিইডি দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ করছে, যা মান সম্মত শিক্ষা পরিবেশ ও শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলো শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দেশব্যাপী ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ‘বীর নিবাস’। এসব বীর নিবাস অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

 

এছাড়াও কৃষি, পরিবেশ ও বন, ভূমি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে এলজিইডি।

 

উপসংহার

এলজিইডি তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা, উদ্ভাবনী কৌশল এবং জেন্ডার সমতার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে অনুসরণ করে আসছে। সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ভিশন ২০২১ এবং জাতিসংঘ প্রণীত সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে এলজিইডি সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এলজিইডির প্রধান প্রধান কার্যক্রম

পল্লি অবকাঠামো:

  • সড়ক, সেতু/ কালভার্ট নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ/পুনর্বাসন/রক্ষণাবেক্ষণ

  • গ্রোথসেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন/ সংস্কার

  • ঘাট/ জেটি নির্মাণ

  • ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ

  • উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন এবং উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণ

  • বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ

  • বৃক্ষরোপণ

  • চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল(এলসিএস) এর মাধ্যমে শ্রমঘন কার্যক্রম পরিচালনা

 

নগর অবকাঠামো:

  • সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ

  • নর্দমা নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ

  • বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ

  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

  • কমিউনিটি ল্যাট্রিন/স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ

  • ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি

  • আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ পরিচালনা

 

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন:

  • স্লুইসগেট নির্মাণ

  • রাবার ড্যাম নির্মাণ

  • খাল খনন ও পুনর্খনন

  • বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ

  • পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা

  • পুকুর খনন

  • ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি

  • আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ পরিচালনা